চিত্রনায়িকা পরীমনির মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট
চিত্রনায়িকা পরীমনির মিডিয়া ট্রায়াল করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, একজন নারীকে পেয়ে ভুক্তভোগী বানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ সংক্রান্ত আদেশে আদালত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে চিত্রনায়িকা পরীমণির আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।
রবিবার আদালতে পরীমনির পক্ষে ছিলেন দুই আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মো. শাহীনুজ্জামান। গত ৩০ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন পরীমণি।
গত ৫ জানুয়ারি চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন। আদেশে আদালত পরীমণিসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন। অপর দুই আসামি হলেন আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন।
গত ১৫ নভেম্বর মাদক দ্রব্য আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। সেই সঙ্গে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরীমণি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমণি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।
Leave a Reply