কুষ্টিয়ায় সাত বউ নিয়ে একই ছাদের নিচে সংসার করছেন রাজিবুল

অথর
কুষ্টিয়া প্রেস ডেক্স :  কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
প্রকাশিত :১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:১৩ অপরাহ্ণ
কুষ্টিয়ায় সাত বউ নিয়ে একই ছাদের নিচে সংসার করছেন রাজিবুল

কুষ্টিয়ায় রাজিবুল ইসলাম (৩৯) সাত বউ নিয়ে একই ছাদের নিচে সংসার করছেন। রাজিবুল ইসলাম জানান, তিনি তার বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। জন্মের পর তার একটা সমস্যা ছিল। সেজন্য তার মা মানত করেছিলেন, ছেলে বেঁচে থাকলে তাকে সাতটি বিয়ে দেবেন। তাই মায়ের সেই মানত পূরণ করতেই সাতটি বিয়ে করেছেন রাজিবুল।

এদিকে তার এ সাত বিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজিবুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মণ্ডলের ছেলে। তিনি ১৫ বছর লিবিয়ায় ছিলেন। দুই বছর আগে আসেন দেশে। লিবিয়ায় থাকার সময়ই ১৯৯৯ সালে প্রথম বিবাহ করেন। এরপর একে একে বিয়ে করেন আরও ছয়জনকে।

তার স্ত্রীরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর চাঁপাই এলাকার নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০), একই উপজেলার ডম্বলপুর এলাকার বানু আক্তার (৩৫) ও কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রিতা আক্তার (২০)। ১৯৯৯ সালে রুবিনাকে বিয়ে করেন রবিজুল ইসলাম। এ দম্পত্তির দুই ছেলে রয়েছে। এরপর লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। করোনার সময় ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। তারও এক মেয়ে আছে। ২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে। পরে গত তিনমাসের মধ্যে বানু, রিতা এবং মিতাকে বিয়ে করেন রাজিবুল। আর সবগুলো বিয়েই করেন পারিবারিকভাবে।

রাজিবুল আরও বলেন, ‘এতে আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি। আমার সাত বউই খুব ভালো। তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না। সাত স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখে-শান্তিতে সংসার করছি। স্ত্রীরা আমাকে যথেষ্ট সেবাযত্ন করে ও ভালোবাসে। সারাদিন সবাই একসঙ্গে কাজ করে। প্রতিরাতে একজন স্ত্রীর কাছে পালা করে থাকি। এতে আমার বা স্ত্রীদের কোনো সমস্যা হয় না।’
বর্তমানে একটি ড্রাইভিং সেন্টার আছে রাজিবুল ইসলামের। রয়েছে কয়েকটি মাইক্রোবাস। নিজে ড্রাইভিং শেখান রাজিবুল ইসলাম।

রাজিবুলের স্ত্রীরা বলেন, আমরা সাত বোনের মতো। আমরা সারাদিন মিলেমিশে সংসারের কাজ করি। পারস্পরিক বোঝাপাড়া ভালো। বোনের মতো এক বাড়িতে সবাই বসবাস করি। কেউ কাউকে হিংসা করি না। কে কম কাজ করলো বা বেশি করল, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। আমরা জেনেশুনেই বিয়ে করেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

শেয়ার করে  সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published.