মীর মশাররফ হোসেনের কুষ্টিয়া লাহিনীপাড়ায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
অমর কথা সাহিত্যিক বিষাদ সিন্ধু রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন’র ১৭৬ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়ায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
‘বিষাদ সিন্ধু’র রচিয়তা ও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়ার বাস্তুভিটায় দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মঞ্চ নাটকের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন। বসেছে গ্রামীণ মেলাও।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা শেষে বিকেল ৪ টায় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়েদ, কবি ও সাহিত্যক আলম আরা জুঁই, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর প্রমুখ।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে মীর মশাররফ হোসেনের জীবন ও সাহিত্যকর্মের ওপর মুখ্য আলোচনা করেন লেখক ও গবেষক ড. আমানুর আমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক মঞ্জু। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করে জেলা ও উপজেলা শিল্পকলা এবং লালন একাডেমির শিল্পীরা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কবির বাস্তুভিটায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মঞ্চ নাটকের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন। বসেছে গ্রামীণ মেলা। মেলায় হরেকরকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। দূর দূরান্ত থেকে মেলা থেকে পণ্য কিনতে ছুটে এসেছেন হাজারো দর্শনার্থী। আগামীকাল মঙ্গলবার রাতে কুমারখালী বিজয় নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় কবির লেখা ‘জমিদার দর্পণ’ নাটক মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ আয়োজন।
১৮৬৯ সালে লেখা মীর মশাররফ হোসেনের ‘রত্নবতী’ উপন্যাসটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এরপর ১৮৮৫ সালে তিনি ‘বিষাদ সিন্ধু’ রচনা করেন।
মীর মশাররফ হোসেনে ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল মীর মোয়াজ্জেম হোসেন, মার নাম ছিল দৌলতন নেসা। তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান।
Leave a Reply