পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নতুন এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে
দেশে পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে নতুন এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশেষে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করেছেন। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ডিজিটাল সুইচ টিপে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
এখন থেকে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিবিহীন আর স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে রেল সেতুর ওপর দিয়ে। অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় ট্রেন যাত্রা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ খুলে যাওয়ায় মানুষ এখন নিরাপদ ও সাশ্রয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে নতুন স্বপ্ন নিয়ে পদ্মা সেতু চালু হয়েছিল। আর রেলসেতু চালুর মধ্য দিয়ে তা পূর্ণাঙ্গতা পেল। ঢাকা থেকে খুলনাগামী আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু হয়ে যাবে। ভাঙ্গা থেকে ট্রেনটি রাজবাড়ী, পাটুরিয়া, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ ও যশোর হয়ে খুলনায় যাবে। বর্তমানে ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া হয়ে চলাচল করে।
অপরদিকে রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত একটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে রাজশাহী থেকে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করে। এছাড়া ঢাকা-পদ্মা সেতু-রাজবাড়ী রুটে একটি কমিউটার ট্রেন চালানোর কথাও ভাবছে রেলওয়ে।
ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচলের পরিকল্পনা রয়েছে। খুলনা থেকে গোয়ালন্দ রুটে চলাচলকারী মেইল ট্রেন নকশিকাঁথা এক্সপ্রেসের চলাচলের রুট বাড়িয়ে ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুরো রেলপথ চালু হলে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, যশোর দিয়ে ট্রেন খুলনায় যেতে পারবে। একইভাবে রাজবাড়ী হয়ে উত্তরবঙ্গের পথেও ট্রেন চলতে পারবে।
Leave a Reply