হালাল রিজিক ছাড়া মুক্তি মোটেই সম্ভব নয়
বৃদ্ধ বাবা বয়সের ভারে নুয়ে গেলেও হালাল রুজির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা
সমাজের বৃত্তবানদের উচিৎ তাদের পাশে এসে দাঁড়ানো
বৃদ্ধ বাবা বয়সের ভারে নুয়ে গেছেন যারা, তারা সবাই এত কষ্টের পরেও হালাল রুজির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সমাজের বৃত্তবানদের উচিৎ তাদের পাশে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। হালাল রিজিকের জন্য আজ শ্রমিক থেকে শুরু করে অবৈধ রুজি ছাড়া সর্বস্তরের কর্মে সবাই যখন হালাল রিজিকে ব্যাস্ত। তখন শয়তানের চেনা পথে কর্ম করে সমাজে চিহৃিত অনেকে সাধুর পরিচয়ে নিজেকে বাহাবাহা দিচ্ছেন। যে যাই করুন হালাল রিজিক ছাড়া কোন ধর্ম-আমল দ্বারাও মুক্তি পাওয়া মোটেই সম্ভব নয়।
ইবাদত বা আমলে সালেহ বা সৎকাজ কবুল হওয়ার পূর্বশর্ত হলো হালাল রিজিক ভক্ষণ করা। সৎকাজ করার আগে পবিত্র ও হালাল জিনিস খাওয়ার নির্দেশের মধ্যে একদিকে পরিষ্কার ইঙ্গিত রয়েছে, হারাম খেয়ে সৎকাজ করার কোনো মানে হয় না। সৎকাজের জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে হালাল রিজিক খাওয়া।
সকল বিশ্ববাসীর উদ্দেশে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা হালাল উত্তম রিজিক আহার করো, যা আমি তোমাদের দিয়েছি।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৭২)। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ওই গোশত (দেহ) জান্নাতে যাবে না, যা হারাম (খাবার) থেকে উৎপন্ন। জাহান্নামই এর উপযোগী।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস নম্বর : ১৭২৩, তিরমিজি, হাদিস : ৬১৪)
মানুষ জীবনে যা যা ভোগ বা উপভোগ করে, সবই তার রিজিক। হালাল রিজিক ইবাদত কবুলের অন্যতম প্রধান শর্ত। রিজিক হালাল বা পবিত্র এবং বৈধ হওয়ার জন্য দুটি শর্ত রয়েছে। প্রথমত, ব্যবহার্য, ভোগ্য বা উপভোগ্য বস্তু বা বিষয়টি হালাল তথা পবিত্র ও অনুমোদিত হতে হবে। দ্বিতীয়ত, তা প্রাপ্তি বা অর্জনের পথ বা মাধ্যম হালাল বা বৈধ হতে হবে। এ দুইয়ের কোনো একটির ব্যত্যয় ঘটলে ওই রিজিক হালাল বা পবিত্র হবে না। প্রকৃত মুসলমান হিসেবে জীবন যাপন করতে হলে হালাল জীবিকা উপার্জনের বিকল্প নেই।
Leave a Reply