কুষ্টিয়া শিল্পকলায় ‘কালচারাল হেরিটেজ কুষ্টিয়ার কুমারখালি’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে ” কালচারাল হেরিটজ জোন – কুষ্টিয়ার কুমারখালি’ শীর্ষক আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক এবং গবেষক আব্দুর রশিদ চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান আলী, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্য ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মামুনুর রশিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরোয়ার মুর্শেদ রতন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিসিআরএ) এবং ঢাকা মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি সাংস্কৃতিক সংগঠক অভি চৌধুরী।
এরপর বক্তব্য রাখেন উক্ত অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাধা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিসির পরিচালক, প্রফেসর ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, সঞ্চালনা করেন যথাক্রমে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. উজ্জ্বল কুমার রায় এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি এস. এস রুশদী, পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সম্মিলিত সামাজিক জোট কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোঃ মুহাইমিনুর রহমান পলল। অনুষ্ঠান সার্বিক সমন্বয় করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহসভাপতি ও দৈনিক প্রতিজ্ঞা পত্রিকার সম্পাদক নুরুন্নাহার সীমা, সহসভাপতি ও লালন সংগীত গবেষনা ও চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা সুফী সাজেদুল হক ডালিম ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবক আরাফাত রহমান শামীম।
উক্ত অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ও নাট্যশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, উদীচী কুষ্টিয়ার সভাপতি ও বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী, গবেষক এবং শিক্ষক ড. নবীনুর রহমান খান, লেখক ও গবেষক ড. এমদাদ হাসনায়েন, শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ওয়েস্টার্ন স্কলারস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম এইচ রাসেলসহ বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক লেখক, সংগঠক এবং শিল্পীদের মাঝে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভি চৌধুরীকে কুষ্টিয়া কুমারখালির কালচারাল এম্বাসেডর ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন মামুনুর রশীদ তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন- “বহির্বিশ্বে শিল্পানুরাগীদের যেভাবে মূল্যায়ন হয়, আমাদের এখানে সেই চর্চাটা কম। বাংলাদেশের শিল্পমাধ্যম অনেক উজ্জ্বল আর তার রয়েছে সুগর্ব ইতিহাস। আমি বিশ্বাস করি এখানে শিল্পীরা মূল্যায়িত হলে সমাজের পরতে পরতে গোলাপ ফুটবে।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান আলী তাঁর বক্তব্যে বলেন- “বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তাদের যে দাবী- কুষ্টিয়া অঞ্চলকে হেরিটেজ ঘোষণা এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়ার সত্যিকার স্বীকৃতি আদায়ের যে আন্তরিক আহ্বান তার সঙ্গে আমিও একমত পোষণ করি।”
অনুষ্ঠান পবিত্র কোরআন তেলায়ত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আরম্ভ হয়। এরপর সম্মানিত উদ্বোধক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের ঘোষণা প্রদানের মাধ্যমে আলোচনা সভা আরম্ভ হয়। অতপর সম্মানিত অতিথিদের উত্তোরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিজের লিখিত কবিতা আবৃত্তি পাঠ করে শোনান কুষ্টিয়া ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতি, কুষ্টিয়ার সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাড. নাজমুন নাহার। কয়েকটি একক রবীন্দ্র ও এবং দলীয় লালন সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সমাপ্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আলী হোসেনকে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এবং কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একডেমির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জনাব শাহীন সরকার এবং শহিদুর রহমান রবি, কুষ্টিয়া গার্লস কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অজৈয় মৈত্র, কুষ্টিয়া জজ কোর্টের এপিপি অ্যাড. সেলিম সোহরাব খান, বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস. আই সোহেল, সম্মিলিত সামাজিক জোটের সিনিয়র সংগঠক ও মানুষ মানুষের জন্য সংগঠনের শাহাবউদ্দিন মিলন ও বিশিষ্ট কবি ও প্রাপ্তি সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা হৃদয়িনী এবং বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দ।
Leave a Reply