বাংলাদেশের অনেকেই চিকিৎসার জন্য এই ট্রেনে যাওয়া আসা করেন

ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশিদেরও

অথর
কুষ্টিয়া প্রেস ডেক্স :  কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
প্রকাশিত :৩ জুন ২০২৩, ৫:১২ পূর্বাহ্ণ
ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশিদেরও

ভারতের উড়িষ্যার বোলেশর বাহানগা বাজারের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে উড়িষ্যার বোলেশর বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ বগির ট্রেনটি। একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ওলটপালট হয়ে যায় ট্রেনটির একাধিক বগি। এতে উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় হু হু করে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে,শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৮৮। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। অন্য দিকে,ওড়িশার দমকল বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল সুধাংশু ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, শনিবার ভোর পর্যন্ত অন্তত ১২০টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে। অনেকেই নিকটাত্মীয়দের সম্পর্কে খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশের বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তাদের কেউ কেউ চিকিৎসা করান কলকাতায়, অনেকে চলে যান চেন্নাই-বেঙ্গালুরুতে। এ ধরনের বাংলাদেশি ভ্রমণকারীরা সাধারণত করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্যবহার করেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও থাকতে পারেন। যদিও এখন পর্যন্ত হতাহতদের মধ্যে বাংলাদেশের কেউ রয়েছেন কি না নিশ্চিত করেনি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

মূলতঃ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রীদের অধিকাংশই পর্যটক এবং চেন্নাইসহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাচ্ছিলেন। আবার অনেকেই চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন। সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য ওই ট্রেনটিতে যাতায়াত করে। এই বিবেচনায় দুর্ঘটনার পর রেল কর্তৃপক্ষ এবং উড়িষ্যার রাজ্য সরকারের সাথে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন যোগাযোগ রাখছে। এ সংক্রান্ত তথ্যের জন্য উপ-হাইকমিশনের হটলাইনে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। হটলাইনে নম্বর-+৯১ ৯০৩৮৩৫৩৫৩৩ (হোয়াটসঅ্যাপ)।

দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন ঘটনাস্থলে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

শেয়ার করে  সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published.