দেশে মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য জটিলতায় বছরে সাড়ে ৬ হাজার নারী মারা যান

অথর
কুষ্টিয়া প্রেস ডেক্স :  কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
প্রকাশিত :২ মে ২০২৩, ১:২২ অপরাহ্ণ
দেশে মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য জটিলতায় বছরে সাড়ে ৬ হাজার নারী মারা যান

মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতায় প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় দুই লাখ মানুষ মারা যায় এবং বাংলাদেশে মারা যায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার নারী। এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইসিডিডিআরবি)।
মঙ্গলবার (০২ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর আইসিডিডিআরবির সেমিনার রুমে ‘অ্যাডসার্চ ও আইসিডিডিআরবি বাংলাদেশে সেক্সুয়াল এবং জন্মধারণ স্বাস্থ্য অধিকার’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

আইসিডিডিআরবির শিশু এবং মাতৃত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মোহাম্মদ এহসানুর রহমান বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম বড় একটি অংশ হচ্ছে মাতৃস্বাস্থ্য। মাতৃস্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিলতায় বিশ্বব্যাপী বছরে প্রায় এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৭১ জন মারা যায়। আর বাংলাদেশে মারা যাচ্ছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার।

প্রজনন স্বাস্থ্যের বড় একটি সমস্যা হচ্ছে প্রজনন অঙ্গের সংক্রমণ। প্রজনন অঙ্গের সংক্রমণের কারণে সারাবিশ্বে মারা যায় ৪৩ হাজার নারী। আর বাংলাদেশে মারা যায় এক হাজারের মতো। বর্তমানে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের এই সময়ে এসে এক হাজার মায়ের মৃত্যু হওয়াটা কাম্য নয়।
তিনি জানান, প্রজনন স্বাস্থ্যের বিশাল একটা সমস্যা হচ্ছে, মহিলাদের জরায়ু পথের ক্যান্সার। জরায়ু পথের ক্যান্সারে পৃথিবীব্যাপী দুই লাখ ৮০ হাজার ৫০০ জন মারা যান। বাংলাদেশে মার যান প্রায় তিন হাজার ৭৫০ জন। মহিলাদের আরও একটি বড় সমস্যা হলো- প্রজনন অঙ্গ যখন নিচের দিকে নেমে আসে। যার কারণে বিশ্বব্যাপী দুই হাজারের অধিক নারীর মৃত্যু হয়। যাতে আমাদের দেশে প্রায় দেড়শোর বেশি নারী মারা যান। নারীদের স্বাস্থ্যজনিত কারণে অনেক সময় গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ হয়ে থাকে। এই গর্ভপাত অনিরাপদ অবস্থায় হলে নারীর স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা বা মৃত্যু ঘটে। বিশ্বব্যাপী এই অনিরাপদ গর্ভপাতের ফলে প্রায় ২০ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। যাতে বাংলাদেশে ১৫০ থেকে ২০০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও অন্যান্য মাতৃত্বকালীন সমস্যায় ৩৫০ থেকে ৪০০ নারী মারা যান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

শেয়ার করে  সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published.