ফেডারেল রিজার্ভ, করোনা মহামারি পরবর্তী অবস্থা এবং খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ায়

২০২৩ সালকে ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ বলে আশঙ্কা

অথর
কুষ্টিয়া প্রেস ডেক্স :  কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
প্রকাশিত :১৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ
২০২৩ সালকে ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ বলে আশঙ্কা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

তিন কারণে ২০২৩ সালকে ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর সে কারণে সবাইকে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ফেডারেল রিজার্ভ, করোনা মহামারি পরবর্তী অবস্থা এবং খাদ্য উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালকে ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ বলা হচ্ছে। সবাইকে এটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে, সর্বাবস্থায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানো, রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। খাদ্য মজুত বাড়াতে হবে।
২০২১-২২২ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের পরে মন্ত্রিসভায় বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা যে অবজারভেশন দিচ্ছেন- সর্বাবস্থাতেই আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা যতই খাদ্য আমদানির কথা বলি, এটা ক্রাইসিস থাকবে। যদিও ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে খাদ্যের ব্যাপারে ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এটার একটা ম্যাটার করবে।
আর ফরেন কারেন্সির একটা ক্রাইসিস হচ্ছে। ফলে ফেডারেল রিজার্ভের ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি হওয়ায় যেসব দেশ লোন নিয়ে কাজ করে বা আমদানি বেশি তাদের দুই দিক দিয়েই অসুবিধা হচ্ছে। একটা হলো আমরা যখন টাকা দিচ্ছি তখন বেশি দিচ্ছি এবং যখন নিচ্ছি তখন কম পাচ্ছি। সে কারণে ডাবল নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হচ্ছে। সেজন্য আমাদের সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। এটার সম্ভাবনাও আছে। আমরা দেখছি কৃষি, মৎস্য, লাইভস্টকে বেশিকিছু নতুন নতুন ভ্যারাইটি আসছে। এগুলো রিপ্লেস করলে উৎপাদন ডাবলের কাছাকাছি চলে যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের যারা বিদেশে যাচ্ছে, আমরা দেন অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ জনবল পাঠাই। তাহলে তাদের জন্য উচ্চ বেতনে কাজ করার সুযোগ থাকবে। যেসব দেশে শ্রমিক পাঠানো হবে সে সব দেশে চাহিদা অনুযায়ী যেন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা হয়। তাদের সনদগুলো যেন সঠিক প্রতিষ্ঠান থেকে পায়।
রেমিটেন্স বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটা সার্কুলার জারি করেছে যে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে কাউকে ফি দিতে হবে না। যে ব্যাংকে পাঠাবে সেই ব্যাংকই এটা হ্যান্ডেল করবে কীভাবে তাদেরকে বেনিফিট দেওয়া যায়। যারা রেমিটেন্স পাঠাবে তাদের যেন সহজ শর্তে নাম এবং এনআইডি দিয়ে পাঠানো যায় কিনা?
বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়ানো নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, বিনিয়োগের যে সব শর্ত আছে সেগুলো আরও সহজ করা যায় কিনা। আমরা কাজ করছি যে একদম বিডাতেই যাবে বিনিয়োগকারীরা। সেখানে তিন-চারটা উইন্ডো থাকবে, যাতে তাকে অন্য জায়গায় আর যেতে না হয়।
খাদ্য মজুত বাড়াতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের এখন যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছে। বেসরকারি সেক্টরকেও ১৫ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যারা সাপ্লিমেন্টারি পণ্য আমদানি করে তাদেরকে সেই সব দেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে দেওয়া যায় কিনা।
খাদ্য আমদানিতে ট্যাক্স কমফোর্টের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, উৎসে কর দিতে হয়। এনবিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আলাপ-আলোচনা করে যেন দ্রুত সন্তোষজনক অবস্থায় চলে যায়।
অনাবাদী সব জমি চাষের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

শেয়ার করে  সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published.