কুষ্টিয়াসহ ১০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মো.এহতেশাম রেজা কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেলেন
কুষ্টিয়াসহ ১০ জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) মো. এহতেশাম রেজাকে কুষ্টিয়ার ডিসি ও কুষ্টিয়ার ডিসি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। রোববার (৯ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহা. রফিকুল ইসলামকে বরগুনা, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারকে যশোর, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব দেবী চন্দকে হবিগঞ্জ, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার-২ (উপসচিব) মোহা. খালিদ হোসেনকে বাগেরহাট এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে বরিশালের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (উপসচিব) মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদকে ভোলা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব শাহেদ পারভেজকে নেত্রকোনা, আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. নূর কুতুবুল আলমকে পটুয়াখালী ও বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব শেখ রাসেল হাসানকে সিলেটের ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর ডিসির দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি করে নিয়ে আসা হয়েছে। বরগুনার ডিসি হাবিবুর রহমানকে জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব, যশোরের ডিসি মো. তমিজুল ইসলাম খানকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে। নেত্রকোনার ডিসি অঞ্জনা খান মজলিসকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব, হবিগঞ্জের ডিসি ইশরাত জাহানকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব এবং পটুয়াখালীর ডিসি মো. শরীফুল ইসলামকে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব করা হয়েছে। এছাড়া সিলেটের ডিসি মো. মজিবুর রহমানকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব, বাগেরহাটের ডিসি মোহাম্মদ আজিজুর রহমানকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, ভোলার ডিসি মো. তৌফিক-ইলাহী চৌধুরীকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং বরিশালের ডিসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে।
সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ডিসি জেলার সাধারণ প্রশাসনিক কার্যক্রম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং কালেক্টর হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়গুলো দেখে থাকেন। এছাড়া নির্বাচিত সরকারের বিশেষ কর্মসূচি ও চলমান সব উন্নয়নমূলক কাজে জেলা প্রশাসক তদারকি করে থাকেন। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী- আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকায় যেকোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে বাতিলের ক্ষমতাও তাদের থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা তথা ডিসির অধীনে। নির্বাচনের সময় সমন্বয়কারীর ভূমিকায়ও থাকেন ডিসিরা।
Leave a Reply