সাংবাদিকতা জগতের পথপ্রদর্শক ও বৃহত্তর কুষ্টিয়ার দৈনিক সংবাদপত্রের জনক আবদুর রশীদ চৌধুরী’র আজ জন্মদিন
সাংবাদিকতা জগতের পথপ্রদর্শক ও বৃহত্তর কুষ্টিয়ার দৈনিক সংবাদপত্রের জনক জনাব আবদুর রশীদ চৌধুরী’র আজ শুভ জন্মদিন। এ অঞ্চলে সাংবাদিকতা জগতে আবদুর রশীদ চৌধুরী দীর্ঘ ৫ দশকের বেশি সময় ধরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁর সম্পাদিত ‘দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা’ সংবাদপত্রটি বৃহত্তর কুষ্টিয়ার কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা) সাহিত্য, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতায়, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রের অন্যতম প্রধান মুখপত্র হিসেবে এলাকার সকলের নিকট সর্বাধিক জনপ্রিয়। প্রবীণ এই সাংবাদিক ১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর তৎকালীন নদীয়া তথা সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কু্ষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রিন্ট মিডিয়া ও টেলিভিশন সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন কবি, লেখক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সমাজ সেবক হিসেবে তিনি অতি পরিচিত। বৃহত্তর কুষ্টিয়া তথা কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে প্রথম প্রকাশিত দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। এই দৈনিক পত্রিকাটি দুই বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংবাদের সেতু বন্ধনের মুখপত্র বলা হয়। এছাড়া তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় ঐতিহ্য সাপ্তাহিক জাগরনী ও দি বাংলাদেশ রিভিউ পত্রিকারও সম্পাদক।
সাংবাদিকতা জাগরনে অগ্রদূত আবদুর রশীদ চৌধুরী প্রায় ৫৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেশের জনপ্রিয় জাতীয় সংবাদপত্র ‘দৈনিক সংবাদ’- এ প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক মিডিয়া তথা চার দশকের বেশী সময় যাবত বাংলাদেশ টেলিভিশনে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া দীর্ঘকাল ধরে কবিতা রচনা করে আসছেন। তাঁর কাব্য গ্রন্থঃ নির্জনে আমি একা; প্রেক্ষিতে মুখর নদী, আয়নায় নিসর্গ রমণ (সম্পাদিত) ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তোমার মনকে ছোঁব একদিন’ ইত্যাদি।
তিনি বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি। কুষ্টিয়া লালন একাডেমির সহ-সভাপতি পাশাপাশি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ কুষ্টিয়া লায়ন্স ক্লাবের জেলা সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে কুষ্টিয়া রাইফেল ক্লাবের সহ-সভাপতি। কুষ্টিয়া ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি ঐতিহ্য পরিষদ কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক, জাগরনী প্রকাশনের স্বত্ত্বাধিকারী ও জাগরনী সাহিত্য সংসদের সভাপতি এবং কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি। তিনি ঢাকা আর্ট কলেজে ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন এছাড়াও জাগ্রত সাংবাদিক পদক পেয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদায় থেকে দীর্ঘদিন সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমে অসামান্য অবদান রাখায় সার্বজনীন প্রশংসিত এই মহান ব্যাক্তি সাংবাদিকতায় বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড, কবি জসিম উদ্দিন পদকসহ ৫০টি পদক ছাড়াও ভারত থেকে ৭৫ পদক পেয়েছেন। স্থানীয়ভাবে ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া জেলা সমিতি, কুষ্টিয়া জেসিস ক্লাব, হাজি মোকাদ্দেস ফাউন্ডেশন মেধা, ড. আলাউদ্দিন আহম্মেদ ফাউন্ডেশন পদক,লিটল ম্যাগাজিন ফোরাম এওয়ার্ড, উত্তরবঙ্গ সাংস্কৃতিক সংঘ পদক ছাড়াও বহু পদক পেয়েছেন। সাংবাদিকতা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে তাঁকে অন্ততঃ ৬০ টি সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। পিআইবি প্রকাশিত সাংবাদিক অভিধানে কুষ্টিয়া জেলার একমাত্র জীবিত সাংবাদিক হিসেবে তাঁর নাম অন্তভূক্ত রয়েছে।
শিক্ষাজীবনে তিনি একজন চিত্রশিল্পী ও এক্ষেত্রে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা আর্ট কলেজ থেকে বিএফ এ ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ভারত থেকে ডিপ্লোমা ইনজার্নালিজম লাভ করেন।
পরিবারিক জীবনে তাঁর স্ত্রী তসলিমা চৌধুরী বুলবুল কবি, সাংবাদিক ও কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘অভিষেক’ এর সম্পাদক। বড় মেয়ে শাহরীন তামান্নু চৌধুরী রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ছিলেন, ছোট মেয়ে নওরোজ তামান্নু চৌধুরী অষ্ট্রেলিয়ায় স্বামীসহ পড়াশুনা করছেন। একমাত্র পুত্র প্রকৌশলী তাসলিমুর রশীদ চৌধুরী হলিউডে সস্ত্রীক কর্মরত।
ততঃপর আমার সাংবাদিকতা জগতের পথপ্রদর্শক প্রসিদ্ধ পুরুষ আবদুর রশীদ চৌধুরী মোর প্রাণের প্রতিটি স্পন্দনে মিশে রবে। মানবিক গুণাবলীতে আলোকিত তথা পরম শ্রদ্ধেয় মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে সবসময় তিনি আগামী প্রজন্মের কাছে সাংবাদিকতার সবুজের সমারোহে প্রিয় অভিভাবক হয়ে থাকবেন। মহান এই গুণীজনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জনে-জনে থেকে সুভাসে ভরে উঠুক।
Leave a Reply