আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখা ভিত্তিতে
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আজ রোববার (১ মে) উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখা যাওয়ায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের কিছু অংশের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
রোববার (১ মে) হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাদরাসা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।
১৯২৮ সাল থেকে সান্দ্রা দরবার শরীফের পীর বিশ্ব মুক্তি আল্লামা ইসহাক চৌধুরীর অনুসারীরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে রোজা এবং ঈদ উদযাপন করে থাকে।
এদিকে গত বছরের মতো এবারও বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগাম ঈদ উদযাপনকারীদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি, এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব। শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখে গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্ত হয়ে আমরা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছি। চাঁদ দেখার বিষয়টি যথাসময়ে মুসল্লিদের কাছে পৌঁছে দিতে না পারায় অনেক গ্রামে ঈদ উদযাপন হয়নি। তারা পরবর্তীতে ঈদ উদযাপন করবে।
উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখে প্রতিবছর চাঁদপুরের তিন উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৪ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ চার উপজেলার ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকে।
Leave a Reply