মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলোর যত্ম নেওয়ার পাশাপাশি তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘সবাই খেয়াল রাখবেন কারণ আমি আর দেখতে চাইনা কোন শহীদ পরিবার, জাতির পিতার চিঠি যার হাতে সে ভিক্ষা করে খাবে-এটা যেন না হয়। আমরা যত কাজই করি এই কাজটা সব থেকে আগে করতে হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ভিক্ষা করবে এটা আমাদের জন্য মোটেই সম্মানজনক নয়।’
মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২২’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, শহীদ পরিবার বা গণহত্যার শিকার কোন পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কিনা সেটা আপনাদের দেখতে হবে। এদের অবদানে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। জাতির পিতার ডাকে সবকিছু ছেড়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করলেও ’৭৫ এর পর তাদের আর অস্তিত্বই স্বীকার করা হয়নি। তাই, তাদের দুর্ভোগের সীমা ছিলনা।
কিন্তু এখন আমরা যখন সরকার পরিচালনা করছি, তখন তাদের কেউ ভিক্ষা বৃত্তি করবে সেটা আমাদের জন্য খুব লজ্জার। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি লক্ষ্য রাখার আহবান জানান।
করোনা মহামারির জন্য দুবছর বিরতির পর এবার ভেন্যু বদলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
অন্যান্য বছর জেলা প্রশাসকদের অধিবেশনগুলো হয় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন শেষ হবে বৃহস্পতিবার।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারী ভাইয়েরা, আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। এখন থেকে অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও নিজেকে জনগণের খাদেম হিসেবে অর্থাৎ সেবক হিসেবেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমিও তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেকে জনগণের একজন সেবক মনে করি।
Leave a Reply