শিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
■ কুষ্টিয়া প্রেস (সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতায়)■ “দেশের মাদ্রাসাগুলোতে প্রচুর অনৈতিক কর্মকাণ্ড হলেও সেগুলোর শাস্তি হয় না। অথচ একজন বাউলের বিরুদ্ধে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে ‘দেশের ২০ লাখ বাউল রাস্তায় নামবেন’ শুক্রবার বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ গেটের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আজ বিকাল ৪টায় বাউল সাধক মহারাজ আবুল সরকারকে ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রীতি যাত্রা’র ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, বাউলশিল্পী, গবেষক ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি খেজুরবাগান মোড় ঘুরে আবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় গিয়ে শেষ হয়।
এসময় বাংলাদেশ সুফি জাগরণ পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাঙালি বলেন, “চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল দেশের সুফি বাউলরা। কিন্তু এখন যেটি ঘটছে এদেশে, এমনটা চলতে দেওয়া যায় না।” পরিকল্পিতভাবে শিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মন্তব্য করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আহলে সুন্নত আল জামায়াতের সভাপতি মাওলানা নূরে আলম সাঈদ বলেন, “তিন দিনের মধ্যে আবুল সরকারকে মুক্তি না দিলে সমস্ত বাউল-ফকির-পাগলরা রাস্তায় নামবে।”
উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, “এক দিন এই পৃথিবীটা বাউলের হবে। আবুল সরকারকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটি দেশের শিল্পী ও মানবাধিকারকর্মীরা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না।”
ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসু বলেন, “বর্তমান সরকার একদিকে লালনের অনুষ্ঠান করে, অন্যদিকে বাউল ফকিরদের নির্যাতন করে, মাজার দরগায় ভাঙচুর হলে নীরব থাকে।’ তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যেকোনো মূল্যে নয়া-ফ্যাসিবাদ রুখতে হবে।” আরও বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, মাহাথির মোহাম্মদ, বাউল সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার প্রমূখ।

























Leave a Reply