‘মাজার সংস্কৃতি বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির একটি অংশ’
■ কুষ্টিয়া প্রেস (সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতায়) ■ মাজার-দরবারে যে হামলা হয়েছে তা যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সামাজিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে; সামাজিক সংলাপের মাধ্যমেই এই সংকট দূরীভূত করা সম্ভব।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে মাকাম: সেন্টার ফর সুফি হেরিটেজ এই সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক কী-নোট পেপার উপস্থাপন করা হয়। পেপারে বলা হয়, মাজার সংস্কৃতি বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতির একটি অংশ। বাংলাদেশের জনগণ, সমাজ ও সংস্কৃতিরই একটি অনুষঙ্গ। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গটি ধারাবাহিক ও সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণের শিকার হয়ে বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে। কেবল সুফি-সমাজ নয়, বরং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ও তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের ওপর এ আঘাত কেউই মেনে নিতে পারছেন না।
এতে আরও বলা হয়, সুফি-সমাজ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ সবাই চলমান সহিংসতার সমাপ্তি চাইছেন এবং একটি সমাধানের পথ খুঁজছেন। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বজায় রাখতে এই সমাধান অত্যন্ত জরুরি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে ৫ আগস্ট পরবর্তী সারাদেশে মাজারে সহিংসতা বিষয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
ইমরান হুসাইন তুষার এবং মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম।
এ সংলাপে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মানজুর আল মতিন, দ্য ডিসেন্ট সম্পাদক ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দীন শিশির, কবি ও ক্রিটিক ইমরুল হাসান, লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ, লেখক ও গবেষক তাহমিদাল জামি, গবেষক ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, বাহাছ পত্রিকার সম্পাদক জোবাইরুল আরিফ, লেখক ও আলেম ইফতেখার জামিল, লেখক ও আলেম ওমর ফারুক ফেরদৌস, সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত, কবি ও লেখক রাফসান গালিব, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সেলিম খান, সেন্টার ফর ইসলামিকেট বেঙ্গল এর রিসার্চ লিড আহমেদ দীন রুমি, কবি ও লেখক সৈয়দুল হক, সমাজসেবী ও সংগঠক মুহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও কানজুল হিকমা রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক সুলতান মাহমুদ সোহেল প্রমুখ।

























Leave a Reply