বিশ্বের সপ্তদশ দেশ হিসেবে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় হতে যাচ্ছে

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় একটি কার্যালয় করতে যাচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্কের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার বৈঠকের পর এ তথ্য জানান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এসময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে সপ্তদশ দেশ হিসেবে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের এমন কার্যালয় হতে যাচ্ছে। বর্তমানে ১৬টি দেশে মানবাধিকার পরিষদের এ ধরনের কার্যালয় রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়া।

এদিকে শারমীন মুরশিদ বলেন, একটা খুব বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় চালু হলে সবচেয়ে বেশি যে সুবিধা হবে তা হলো, মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, মানবাধিকার পরিষদ সরাসরি তদন্ত করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, শিগগিরই এই কার্যালয় হবে। এখানে কার্যালয় থাকা মানে মানবাধিকারের জায়গা থেকে আমাদের শক্তি বাড়ল।

রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে নিজেদের অপরাধের তদন্ত হয় না জানিয়ে শারমীন মুরশিদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় আসে, চলে যায়, তারা যদি নিজেদের অপরাধের তদন্ত করে, সে তদন্ত তো হয় না। নাগরিক সমাজ থেকে যখন তদন্ত করা হয়, অথবা সত্যটা যখন তুলে ধরা হয়, তখন তাদের ওপর নির্যাতন আসে এবং নানা চাপের মুখে থাকতে হয়। সেই কথাগুলো ব্যক্ত করা যায় না, রিপোর্টও করা যায় না।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার টুর্ক। প্রথম দিনে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্যের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আয়োজনে যোগ দেন তিনি।