১৬ সেপ্টেম্বর ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)পালিত হবে
বাংলাদেশের আকাশে রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে। হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হযরত মুহাম্মদের (স.) পৃথিবীতে আগমণ দিন। এ দিনটি মুসলিম বিশ্বে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
তাই বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসাবে ১২ রবিউল আউয়াল হয় ১৬ সেপ্টেম্বর। সেইদিন ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হজরত মুহাম্মদের (স.) পৃথিবীতে আগমনের দিন। এ দিনটি মুসলিম বিশ্বে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করা হয়।
আরবি ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’র শাব্দিক অর্থ- মহানবির (স.) জন্মদিনের আনন্দোৎসব। মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবি হজরত মুহম্মদ (স.) পৃথিবীতে আগমন করেন। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) দিন সাধারণ ছুটি।
মহানবি হজরত মুহম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। আরবের মরু প্রান্তরে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচার শুরু করেন তিনি। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এজন্য দিনটি তার জন্মের আগে ও পরে সব সময় উম্মাহর কাছে সবচেয়ে আগ্রহ ও আনন্দের মুহূর্ত।
রবিউল আউয়াল (আরবি: ربيع الأول) হলো ইসলামি বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস। এই মাসে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ইসলামের শেষনবী মুহাম্মাদের জন্মদিন পালন করা হয়। ‘রবিউল আউয়াল’ অর্থ “শুরু (মাস)”, বা, “বসন্তের প্রারম্ভ”; এই মাসটির নাম ‘রবিউল আউয়াল’ হওয়ার কারণ হচ্ছে, প্রাক-ইসলামী আরব পঞ্জিকা অনুসারে এটি ছিলো প্রথম মাস। ইসলাম ধর্মীয় মতানুসারে, এটি একটি শুভ মাস। ওই দিন মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষের সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply