এক ভরি সোনার অলংকার এক লাখ ৩১ হাজার ৪৯১ টাকা, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার (১৯ মে) থেকে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ৩১ হাজার টাকার ওপরে গুনতে হবে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে সোনার অলংকারের এত দাম কখনো হয়নি।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার (১৯ মে) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
আট দফা দাম কমার পর এখন পাঁচ দফায় সোনার দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজুস সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা আজ ১৯ মে থেকে কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৩১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৯৩ টাকা বাড়িয়ে ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হবে ন্যূনতম ৬ শতাংশ। ফলে আজ থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার অলংকার কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ৩১ হাজার ৪৯১ টাকা গুনতে হবে। এত দামে এর আগে দেশের বাজারে সোনার অলংকার বিক্রি হয়নি।
সোনার অলংকারের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার কারণ মজুরি। আগে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হতো ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। কিন্তু এ নিয়ম পরিবর্তন করে গত ১৪ মে ভরিপ্রতি ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। এতেই নতুন দামে সোনার অলংকারের ক্ষেত্রে ভরিপ্রতি ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে সাত হাজার ১০৮ টাকা।
Leave a Reply