আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুলের প্রয়াণ দিবস। কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা..
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের দেহবাসন হলেও নজরুল রয়ে গেছেন আমাদের মনে। দুর্গম পথ চলতে গিয়ে পথিক যখন পথ হারিয়ে ফেলে তখন পথ খুঁজে পেতে কি করতে হয় সেটি দেখিয়েছেন নজরুল। আমার পথ কীভাবে আমার মুক্তি নির্দেশ করবে তা আমাদের জানিয়েছেন নজরুল। নজরুল আমাদের হতে বলেছেন- উদ্দাম, চঞ্চল, নির্ভয়, স্বচ্ছল, বাধাহীন, বেদুঈন, স্বাধীন।
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাসাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলাসংগীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। এই মহান কবি ১৯৭৬ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Leave a Reply