আরও একটি অনুমোদিত হয়ে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১১টিতে
দেশে নতুন করে আরও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এটি নিয়ে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১১১টিতে। এদিকে মান নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে।
অবশ্য ২০০১ সালের পর রাজনৈতিক বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে, যা এখনো চলছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সনদ বিক্রির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে নানা রকমের অভিযোগ আছে। যদিও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২২টি শর্তে মঙ্গলবার নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলমকে চিঠি দিয়েছে। ‘তিস্তা ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে রংপুরে। অনুমোদিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ঠিকানা হিসেবে দেওয়া হয়েছে রংপুর ক্যাডেট কলেজসংলগ্ন মডার্ন মোড়।
বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেওয়া শর্তের মধ্যে আছে সাময়িক অনুমতির মেয়াদ হবে সাত বছর, বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে। ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং এসব অনুষদের অধীনে কমপক্ষে ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিলে কমপক্ষে তিন কোটি টাকা যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে। এ ছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্তগুলোসহ আরও কিছু শর্ত মানতে হবে।
দেশে ১৯৯২ সাল থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানো ও শিক্ষার্থীদের বিদেশে চলে যাওয়া নিরুৎসাহিত করা। শুরুর দিকে গ্রহণযোগ্য উদ্যোক্তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছিলেন। এতে দেশে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, যারা পড়াশোনার মান বজায় রেখেছে।
Leave a Reply