উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী
আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়েও বাড়ছে দেশের স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম: সিপিডি
আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে দেশের স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম। বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও স্থানীয় বাজারে সেই প্রভাব নেই। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী। এক গবেষণার বলছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি)। সোমবার (২৭ মার্চ) ধানমন্ডি কার্যালয়ে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সিপিডির সুপারিশমালা’ শীর্ষক বাজেট প্রস্তাব বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপান করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডির বলছে, গত বছর চারজনের এ খাবারের দাম ছিল ১৮ হাজার ১১৫ টাকা। আর মাছ মাংস ছাড়া এ ব্যয় ছিল ৫ হাজার ৬৮৮ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিবারের খাবারের ব্যয় বেড়েছে ৪ হাজার ৫৪৯ টাকা। এখানে ২৫টি খাদ্যপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিলে ব্যয় দাঁড়ায় ৭ হাজার ১৩১ টাকা। এ দামের বিপরীতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের যে আয় তা দিয়ে খাদ্যপণ্য কিনে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শিল্প কারখানাসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট ও প্রান্তিক মানুষের খাদ্য সহায়তা জোরদায় করার পরামর্শ দেয় সিপিডি।
সিপিডি জানায়, এক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের মেকানিজমগুলোও সঠিকভাবে কাজ করছে না। লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন আমিষ।
Leave a Reply