শরিয়ত ও তরিকত জগতের সম্রাট বড়পীর আবদুল কাদির জিলানী (র.)
কুতুবে রব্বানি মাহবুবে সুবহানি শায়খ সাইয়্যিদ আবদুল কাদের জিলানী (র.) (৪৭১-৫৬১ হিজরি) মুসলিম বিশ্বের পতন যুগে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসলামের শাশ্বত আদর্শকে।
তার মাধ্যমেই ইসলাম পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছিল। এ জন্যই তার উপাধি ছিল মুহীউদ্দীন। পৃথিবীর বহু মুসলিম দেশে ১১ রবিউস সানিতে ফাতেহা শরিফ অনুষ্ঠান হয়। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ ভালোবেসে তাঁকে বড়পীর সাহেব বলেন।
শরিয়ত ও তরিকত জগতের সম্রাট হুজুর গাউসে আজম শাহেনশাহে বাগদাদ সাইয়্যিদুনা আবদুল কাদের জিলানী (র.)-এর মাতার নাম সাইয়্যিদা হজরত ফাতেমা সানীয়া (রহ.) এবং পিতা ছিলেন মুসা জঙ্গী দোসত (র.)। হজরত গাউসে সাকালাইন (র.) এর ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা ও আদর্শ যুগে যুগে সঠিক পথের দিশা দিয়ে আসছে।কাদেরীয়া তরিকার প্রবর্তক হজরত গাউসুল আজম আবদুল কাদের জিলানী (র.) প্রিয় রাসূল (সা.)-এর প্রতিনিধি হিসেবে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার অক্লান্তভাবে করে গেছেন।
পবিত্র কোরআন ও হাদিসের অমূল্য বাণীর সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানে ইসলামের প্রকৃত রূপ জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। তার অপরিসীম জ্ঞানের পরিধি, ভাষার মাধুর্যতায় মানব সমাজকে ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেছেন।
তার বক্তব্য শোনার জন্য বাদশা থেকে দরিদ্র এমনকি ভিন্ন জাতির মানুষও জড়ো হতো। অতঃপর ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিতে কুণ্ঠাবোধ করত না।
Leave a Reply