ধর্মীয় ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রহস্যময় সূর্য গ্রহণ
আমাবস্যা সাথে রেখে সূর্যগ্রহণ হয়। ২৫ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এ সময়ের আগে থেকেই সাগর উত্তাল, বাতাসের তীব্রতা বৃদ্ধি ও প্রচুর বৃষ্টি হয়।
ধর্মীয় দৃষ্টিতে, সুর্যগ্রহন যেমন বাহিরে স্পষ্ট-অস্পষ্ট দেখা বা বোঝা যায় তেমনি ধর্মীয় গভীরতায় দেহ ও মনের ভিতরেও রহস্য রহিয়াছে। মহান আল্লাহ (সৃষ্টিকর্তা) আমাদের সব রকম বিপদ থেকে হেফাজত করেন অতঃপর হুশিয়ার করেন। সুর্যগ্রহণ আমাদের অনেক কিছুর সংকেত দিয়ে থাকে, যা জ্ঞানীরা উপলব্ধি করে থাকেন। সুর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হলো আল্লাহর সৃষ্টির একটি নিদর্শন চিহ্ন। সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর মাখলুক তথা সৃষ্টবস্তু এবং এর প্রমাণস্বরূপই মহান সৃষ্টিকর্তা এ দুটোর ওপর ‘গ্রহণ’ প্রদান করেন। ‘গ্রহণ’ সূর্য ও চন্দ্রের ওপর প্রযোজ্য আল্লাহর কুদরতের আলামত বা নিদর্শন বৈ অন্য কিছুই নয়। এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তাও বটে। সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় মুমিনদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারা যেন এ সময়ে আল্লাহর তাসবিহ পাঠ, দোয়া, সালাত আদায় করে।
আমরা সত্যকে ধরে রাখি, অনুমান বা আন্দাজে পথ না চলি। আল্লাহর ওলি আউলিয়ার সাথে থাকি অতঃপর ছবকের মধ্য দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ায় মূল বিষয় বুঝি। মহান পালনকর্তা আমাদেরকে এই মানবকূলে এসে একজন আল্লাহর মুমিন উপাধি প্রাপ্ত মহান ব্যক্তির সহবতে থেকে এসব গভীর জ্ঞান নেওয়ার তৌফিক দান করুক। ইবলিস আদমকে সন্মান করেন নাই বলে আমরা শ্রেষ্ঠ হয়ে পথপ্রদর্শকে মানবো না তা মোটেই কাম্য নয়।
সূর্যগ্রহণ পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার একটি মাধ্যম। তা কোনো আনন্দ-কৌতুলহলের বিষয় নয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্যগ্রহণের পুরো সময়টিতে নামাজ পড়তেন। ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। সে কারণেই সূর্যগ্রহণের সময় নামাজ ও করণীয় সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।
২৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সূর্যগ্রহণ গ্রহণ আরম্ভঃ দুপুর ঘ ০২ টা ৫৮ মিনিটে, গ্রহণ মধ্যঃ অপরাহ্ন ঘ ০৪ টা ৫৯ মিনিটে,গ্রহণ সমাপ্তিঃ রাত্রি ঘ ০৭ টা ০১ মিনিটে, স্থিতিকালঃ ৪ ঘন্টা ০৩ মিনিট। গ্রহণ দৃশ্যঃ বাংলাদেশ সহ সমগ্র ভারতে দৃশ্য। বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে সূর্যগ্রহণের সময় খালিচোখে সুর্য্যগ্রহন দেখলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, ঠিক তখনই পৃথিবীর কোনো দর্শকের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায় (কিছু সময়ের জন্য)। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। আবার পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে তখন পৃথিবীর আড়ালে চাঁদ ঢাকা পড়ে এবং চন্দ্রগ্রহণ হয়। আমাবশ্যার ও পূণিমা তে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। পৃথিবীতে প্রতি বছর অন্তত দুই থেকে পাচঁটি সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে শূন্য থেকে দুইটি সূর্যগ্রহণ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়।
Leave a Reply