হাসপাতালে কিশোরীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
রাজশাহীর দুর্গাপুরে মোছা. মেহেরুন (১৭) নামে এক কিশোরীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী তৌফিকুল ইসলাম হিমেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়া তৌফিকের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মেহেরুনের পরিবারসহ শতাধিক গ্রামবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান কিশোরী মেহেরুন। এরপর থেকেই তার স্বামী হিমেল পলাতক রয়েছেন। কিশোরীর পরিবারের দাবি তাকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা থানায় গেলেও মামলা না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
পরে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জয়কৃঞ্চপুর চেতনার মোড়ে মেহেরুনের স্বামীর বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
এ সময় দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় কিশোরীর বাবা মাহাবুর রহমানকে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস দুয়েক হয়েছে মেয়েকে ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছি হিমেল নামের এক ছেলের সঙ্গে। বিয়েতে ২ লাখ টাকা, মোটরসাইকেলসহ অনেককিছুই দিয়েছি। কিন্তু ছেলে মাদকাসক্ত তা জানা ছিল না। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে সে।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি আমার মেয়েকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে তৌফিক। আমাদের না জানিয়েই মেয়েকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমার মেয়েকে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে সে পালিয়ে যায়। আমরা প্রতিবেশীর কাছে থেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। চিকিৎসকের পরামর্শে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু ১৫ জানুয়ারি সে মারা যায়।
Leave a Reply