সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়ার দৈনিক সংবাদপত্র

অথর
নূর মোহাম্মদ রবিউল  কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
প্রকাশিত :২৯ জানুয়ারি ২০২২, ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ
সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়ার দৈনিক সংবাদপত্র

মাতৃমমতায় ভরা আমাদের প্রিয় এই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ কুষ্টিয়া।সাহিত্য-সংস্কৃতির অপরুপ সম্ভারের পরিপূর্ণ কুষ্টিয়া বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী যেমন তেমনি দৈনিক সংবাদপত্রের জেলা হিসেবে পরিচিত এক অনবদ্য। আবার কুষ্টিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী স্থাপিত করে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ইতিহাস রচিত হয়।

আজ সেই গৌরবময়কৃত এই জেলা থেকেই প্রতিদিন ভোরে সূর্যের আলোর কণার স্পর্শে জনপ্রিয় অনেকগুলি দৈনিক সংবাদপত্র আলোর মুখ দেখে।কুষ্টিয়া যেমন মনীষী ও গুণীজনের চিন্তা চেতনার পটভূমি ঠিক তেমন দৈনিক সংবাদপত্রের চাহিদা অনুযায়ী এখানকার নাগরিকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সাহিত্য চর্চার সুযোগও বেশি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত,বাউল সম্রাট সাধক লালনের তীর্থভূমি,বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্রের জনক ও গ্রামীণ সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারসহ অসংখ্য গুণীজনের পীঠস্থান কুষ্টিয়াকে করেছে বিখ্যাত। সংবাদপত্র বিষয়ে কিছু লিখতে গেলে অত্যাচার ও জলুমের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদার অতঃপর ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকার প্রশংসা করতে হয়।

সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের আদর্শ আজ ইতিহাসে একটি অধ্যায়ে পরিণত। সাংবাদিকতা জগতের এই মহৎ ব্যাক্তি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে (তদানীন্তন পাবনা জেলার নদীয়া) ২২ জুলাই ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।তার জীবন দর্শন ও সাংবাদিকতা চর্চা নিয়ে আলোচনা করলে উঠে আসে একজন প্রকৃত নির্ভীক সাংবাদিকের সততা-আদর্শ,দক্ষতা ও নিষ্ঠাবানের কথা। তরুণ বয়স থেকেই মানবতার সেবায় অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন তিনি।

সে সময় ব্রিটিশ শাসকদের নির্যাতনে নিজ গ্রামের সাধারণ মানুষের উপর জোর-জুলুম,দুঃখ-অভাবের ঘটনা তুলে ধরতে তিনি প্রবন্ধ লেখা আরম্ভ করেন কবি ইশ্বরচন্দ্রের ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায়। কবির উপদেশে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের প্রবন্ধের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে প্রকাশ করা হতো। তারপর নিজ উদ্যোগে গ্রাম-হিতৈষণার আদর্শ নিয়ে ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ প্রকাশ করেন।তা কলকাতার গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্মের যন্ত্রে মুদ্রিত ও কুষ্টিয়া কুমারখালী থেকে প্রকাশিত হতো। এতে সাহিত্য,দর্শন,বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ নিয়মিতসহ নীলকর ও জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের জমিদারের নানা অনাচার-অত্যাচারের কথা প্রকাশিত হতো। চার-ফর্মার এই মাসিক পত্রিকার মূল্য ছিল পাঁচ আনা। শেষে এক পয়সার সাপ্তাহিকী পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়। ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট ও দেশী জমিদারদের অব্যাহত হুমকিও তাঁকে এ-কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। পত্রিকাটি প্রকাশের সুবিধার্থে তিনি ১৮৭৩ সালে কুষ্টিয়ায় এম.এন প্রেস নামে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন।

একদিকে অর্থের অভাব অন্যদিকে সরকারের কঠোর মুদ্রণনীতি ও নানা বিরোধিতায় মাসিক,পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক হিসেবে কয়েক পর্যায়ে প্রায় ২২ বছর প্রকাশের পর ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ বন্ধ হয়ে যায়।সেই উনিশ শতকে গ্রাম বাংলার নির্যাতিত গণমানুষের পক্ষে সবসময় পাশে ছিল এই পত্রিকাটি। সেই কারণেই আজো ইতিহাসের পাতায় সাংবাদিকতার জগতে একজন কালজয়ী সংবাদিক কুষ্টিয়ার গর্ব ও অহংকার কাঙাল হরিনাথ মজুমদার অতঃপর ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকা।

নানা সময় পেরিয়ে আজ আপন আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে কুষ্টিয়ার অনেকে সাংবাদিক এখন সম্পাদনা ও প্রকাশকের দায়িক্ত্ব পালন করছেন। সংবাদপত্রের জগতে এ জেলায় প্রতিদিন এতগুলি দৈনিক পত্রিকা সৃষ্টিতে নতুন অধ্যায়ে রুপ নিয়েছে যেমন তেমনি কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকতার কদরও বেড়েছে আজ। এখন এই পেশাতে এসেছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী,এসেছেন ব্যাবসায়ীগণ এবং প্রভাবশলীগণও।
এঁরাও তাদের অর্থ,সময় ও দক্ষতা দিয়ে এই চর্চাকে ধরে রাখতে কবি,লেখক ও প্রতিভাবান সাংবাদিকদের নিয়ে অনুপ্রেরণা যোগাতে প্রসংসনীয় অবদান রাখছেন।কুষ্টিয়ার প্রতিটি দৈনিক পত্রিকার স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছেন তারা যেন তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এই কামনা সকলের।অনেকেই মনে করেন বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জনক ও মফস্বল সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কুষ্টিয়ার কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের আদর্শ-সৃষ্টি কর্ম এই জেলার অনেকেরই সাংবাদিকতা পেশাতে আসার এক অনুপ্রেরণাও।

এ জেলার অনেকগুলো দৈনিক পত্রিকার ভীড়ে পাঠকের চাহিদা পূরণে প্রকৃত কলম সৈনিকদের নাম,খ্যাতি ও পরিচিত ফুটে উঠেছে। অনেক সাংবাদিকের সম্পাদনায় এক ঝাঁক নবীন ও প্রবীণ সাংবাদিকদের কলমে ‘দৈনিক’ তুলে ধরতে চলেছে লুকিয়ে থাকা না জানা অনেক কথা।যদিও আজ প্রকাশিত হচ্ছে ক্ষমতার দাপটে,ব্যবসায়ীদের তৎপরতায়,রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়াতে নানামুখী দৈনিক পত্রিকা। আবার স্বীকার করতে হয় অনেক দৈনিক থাকাতে সংবাদকর্মীদের কদরও বেড়েছে। সেই সাথে গণতন্ত্র,সাহিত্য-সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনেকেই সকালে পত্রিকা না পেলে অস্থিরতা বোধ করে।একটি দৈনিক পত্রিকার কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা।আর পত্রিকাও পাঠকের চাওয়া পাওয়ার কতটুকু পূরণ করতে পারবে! তবে প্রশ্ন ও উত্তর থেকে যায়,যে নীতি ও আদর্শের কারনে অনেকে সাংবাদিকতার মতো মহৎ পেশাকে বেছে নিয়েছেন তা বাস্তব রুপ দেওয়ার অনুকূল পরিবেশ কতখানি আছে আমাদের মিডিয়ায়। দৈনিক সংবাদপত্র ও সম্পাদকগণের জনপ্রিয়তা বর্তমানে একাডেমিক যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আদর্শের আলোক ছটা এবং লেখনীর প্রতিভার মাধ্যমে বিচার করা যায়।নিয়মিত প্রকাশে ও পাঠকপ্রিয়তায় কতটুকু জনপ্রিয়তা পাবে এ বিষয়ে পাঠক বিচার করতে পারেন।কারণ প্রত্যেক সম্পাদকের নিকট নিজের দৈনিক প্রিয় তবে লেখনী,গুণ ও কর্মের দ্বারা সেরাটা নির্ণয় করা সম্ভব।

যুগের সাথে সাথে পুরুষের পাশাপাশি নারীর সম্পাদনায় দৈনিক পত্রিকা এই জেলাতেও আছে।এছাড়া ইংরেজী একটি দৈনিক আছে এটিও একজন নারীর সম্পাদনায়।তবে কুষ্টিয়াতে দৈনিক সংবাদপত্র এসেছে এর ইতিহাস খুঁজলে দেখা যায়,কুষ্টিয়ায় যখন প্রথম দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় তখন বাংলাদেশের অনেক জেলাতে দৈনিক পত্রিকা সৃষ্টি হয়নি।এই জেলা তথা বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার প্রথম দৈনিক হচ্ছে- দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা।

আবদুর রশীদ চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯৮৭ সালের ২০ মে এই দৈনিক পত্রিকাটির যাত্রা শুরু হয়।কুষ্টিয়ার ইতিহাসে প্রথম এই দৈনিক পত্রিকাটি শুরু থেকেই নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে এ অঞ্চলের কবি ও লেখকদের নিয়মিত লেখা প্রকাশসহ অত্র এলাকার মানুষের সমস্যা এবং সম্ভাবনা নিয়ে প্রকাশ করে আসছে।এই পত্রিকার সম্পাদক জানান,কাউকে ভয় দেখিয়ে অসাধু উপায়ে অর্থ আদায় করার কোন পরিকল্পনা এই পত্রিকার নেই।সাংবাদিকতার ন্যায়-নীতি-আদর্শকে সামনে রেখে চলা ও সাহিত্য চর্চাতে অনুপ্রেরণা জাগাতেই এই পত্রিকাটি। আর যাদের লেখা ছাপা হয় তাদের কাছে পুরস্কার ও কাগজ আমাদের নিজ দায়িত্বে পাঠানো হয়।

সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা,যে পেশাটি অন্য চাকুরীর মত নয়।এখানে যারা কাজ করতে আসেন,তারা এই কাজটিকে ধ্যান,জ্ঞান ও আরাধনার বিষয় বলে মনে করেন।বাস্তবতার পারিপার্শিক নানা কারনে তারা সময়মত নীতি ও আদর্শের বাস্তবায়ন করতে পারেন না।মনের মাধুরী দিয়ে গড়ে তুলতে পারেন না তার স্বপ্ন আকাঙ্খা বা প্রত্যাশার দৈনিককে।দৈনিক পত্রিকা ক্ষমতার শাসন নিয়ন্ত্রিত,তাই তাদের বাইরে একটি শব্দও লিখতে পারেন না বেশির ভাগ পত্রিকার অনেক সংবাদকর্মী।

আমাদের অনেক দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশে,নানা শ্লোগান আশার বাণী শুধু সেই দৈনিকের আজ স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে।যে জেলায় এতগুলো দৈনিক প্রতি সকালে নিজ গুণের আলো নিয়ে প্রকাশিত হয় সেই জেলায় সাহিত্য চর্চা ও মত প্রকাশের সুযোগ ততই বৃদ্ধি পায়।এতগুলি দৈনিক এটাও কুষ্টিয়াবাসীর বড় পাওয়া।কুষ্টিয়া থেকে দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত কয়টি প্রকাশ হয় এটি পাঠক মহলের জানা।তবে প্রথম প্রকাশিত ‘দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা’ থেকে অনেক কবি,লেখক ও সাংবাদিক এই পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে আজ অধিষ্ঠিত।ছেলেবেলা থেকে আমিও এই পত্রিকাতে লেখালেখিতে হাতে খড়ি।এখন কুষ্টিয়াতে অনেক দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিন বের হচ্ছে।
ঘোষণাপত্র সম্পাদনের তারিখ অনুযায়ী এগুলো হচ্ছে:- দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা (২০/০৫/১৯৮৭), দৈনিক দেশভূমি (০৯/১২/১৯৯১), দৈনিক আন্দোলনের বাজার (৩০/০৪/১৯৯২), দৈনিক শিকল (২২/০৭/১৯৯২), দৈনিক বজ্রপাত (০৫/০৫/১৯৯৮),দৈনিক আজকের আলো (২৯/০৬/১৯৯৯),দৈনিক দেশতথ্য (২৭/০৬/২০০২),দৈনিক হাওয়া (২৮/১২/২০০৫),দৈনিক মাটির ডাক (২৬/০৭/২০০৬),দৈনিক আজকের সূত্রপাত (১৭/০৪/২০০৭ ),দৈনিক আরশীনগর (২৯/০৮/২০০৭),দৈনিক সময়ের কাগজ (২৪/০৯/২০০৭),দৈনিক জয়যাত্রা (১২/১২/২০০৭),দৈনিক দিনের খবর (০২/০২/১০),দৈনিক কুষ্টিয়া (১৯/১২/২০১১),দৈনিক স্বর্ণযুগ (০৭/০১/২০০৭),দৈনিক মাটির পৃথিবী (০৩/০৪/২০১১),দৈনিক কুষ্টিয়ার কাগজ (২৬/১২/২০১১),দৈনিক সূত্রপাত (০৩/০১/২০১২),দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিদিন (০২/০২/২০১২),দৈনিক সত্য খবর (০৬/০২/২০১২),দৈনিক হিসনা বাণী (০৬/০২/২০১২),দৈনিক সাগরখালী (০৭/০২/২০১২),ডেইলি অথেনটিক (ইংরেজী)-০১/০৩/২০১২),দৈনিক জন মতামত (০১/০৩/২০১২),দৈনিক কুষ্টিয়া বার্তা (২৯/০৪/২০১২),দৈনিক দেশের বাণী (০৫/১১/২০১২),দৈনিক মুক্তমঞ্চ (১২/১১/২০১২),দৈনিক লালন কণ্ঠ (১৩/১১/২০১২),দৈনিক প্রতিজ্ঞা (১৩/১১/২০১২),দৈনিক কুষ্টিয়া দর্পন,দৈনিক পদ্মা গড়াই, দৈনিক সময়ের দিগন্ত ও দৈনিক ইনটারন্যাশনাল (১৯/০৭/২০১৭)।এগুলো প্রতিটি পাঠপ্রিয়তা পেয়েছে তা নয়,বরং বেশির ভাগ দৈনিকই গ্রহিতার কাছে পৌঁছায়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে সুনাম অর্জন করেছে যা পাঠকদের মতে জানা যায়।

পাঠক এখনো এমন একটি দৈনিক খোঁজেন যে পত্রিকাটি প্রতিদিন কেবল তাদের কথা বলবে।এমন পত্রিকা আমাদের বাজারে কম আছে! না থাকলে কেন নেই ! তা আমরা ভেবেছি কখনো।একটি দৈনিককে তার মতো করে চলতে দিতে হবে,যাতে করে সেই দৈনিকটি কোন ব্যাক্তি গোষ্ঠির স্বার্থোদ্বারের মুখপাত্র না হয়ে ওঠে।তৃণমূল পর্যায়ের পাঠকরাও আজকাল সচেতন।

পত্রিকার নিউজ ভিউজ দেখে তারা বলে দিতে পারেন দৈনিকটি পক্ষপাতদুষ্ট কিনা,আর তা যদি হয়ে থাকে সেটি যে বিশেষ শ্রেণী,গোষ্ঠী,রাজনৈতিক দল বা ব্যাক্তির পুচ্ছবৃত্তি করছে তাও তাদের জানা।অনেক সংবাদপত্রকে দেখা গেছে বাস্তবতার তাগিদে অনেক সময় কেউ কেউ বিচ্যুত হন নীতি আদর্শ থেকে।আজ যদি প্রত্যেক দৈনিক সে তাঁর পথ চলার সাথে সবার মতামতের ভিত্তিতে ভালটুকু গ্রহণ ও মন্দটুকু বর্জনের মানসিকতা গড়ে তুলতে পারে তবেই এর জয়।কুষ্টিয়া জেলার দৈনিকগুলি সাফল্যের সাথে সকল শর্তপূরণে,পাঠকের চাওয়া পাওয়া দিকে নজর দিয়ে ও ন্যায়-নীতি-আদর্শকে সামনে রেখে নিজ গন্তব্যের লক্ষ্যে পৌঁছাক এটাই আগামীর প্রত্যাশা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

শেয়ার করে  সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published.


আরও পড়ুন