প্রবীণদের শেষ জীবনে আর্থিক সুরক্ষায়
ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য পেনশনের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও পেনশনের আওতায় আনতে সরকারের চিন্তার কথা জানিয়েছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকির কথা চিন্তা করে পেনশন ব্যবস্থায় ‘আমূল পরিবর্তন’ আনারও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
বয়োজ্যেষ্ঠ সবাইকে পেনশন দেওয়ার চিন্তার কারণ ব্যাখ্যা করে তখন আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত, তারাই পেনশন সুবিধা পান।
বাকি ৯৫ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পেলেও অন্যদের জন্য সে সুবিধাও নেই।
আবদুল মুহিত সে সময় আরও বলেছিলেন, মানুষের গড় আয়ু বাড়ার কারণে প্রবীণদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, বিপরীতে নগরায়নের ফলে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রবীণদের শেষ জীবনে আর্থিক সুরক্ষায় সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন এখন ‘সময়ের দাবি’।
২০১৯ সালের নভেম্বরে একটি অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছিলেন, দেশের সব বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক ও হতদরিদ্র মানুষকে সার্বজনীন পেনশনের আওতায় আনতে চায় সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ সেল এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
সে সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেছিলেন, পেনশনভোগীদের কত টাকা দেওয়া হলে তারা ‘অলস হয়ে যাবেন না’ সে তথ্য জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply