শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী
চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের কারান্তরীণ মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি এই পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলছে, নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ইরানে নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারে লড়াইয়ের জন্য নার্গিস মোহাম্মদীকে ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই বছরের শান্তি পুরস্কার সেই লাখো লোককেও স্বীকৃতি দেয়, যারা গত বছর নারীদের লক্ষ্যে পরিণত করা ইরানের ধর্মতান্ত্রিক শাসনের বৈষম্য ও নিপীড়নের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন।বিক্ষোভকারীদের বেছে নেওয়া আদর্শবাণী‘নারী-জীবন-স্বাধীনতা’উপযুক্তভাবে নার্গিস মোহাম্মদীর উত্সর্গ এবং কাজকে প্রকাশ করে।
নোবেল কমিটি আরও বলছে, নার্গিস মোহাম্মদী একজন নারী, একজন মানবাধিকার আইনজীবী, স্বাধীনতা যোদ্ধা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার অধিকার আদায়ে সাহসী সংগ্রামের জন্য তাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ইরান সরকার তাকে ১৩ বার গ্রেপ্তার করেছে।
পাঁচবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তার সর্বমোট ৩১ বছরের জেল এবং ১৫৪টি বেত্রাঘাতের সাজা হয়েছে। নার্গিস মোহাম্মদী এখনো কারাগারে রয়েছেন।
নার্গিস মোহাম্মদী ১৯৭২ সালের ২১ এপ্রিল ইরানে জন্মগ্রহণ করেন। অধিকার সংগঠন ফ্রন্টলাইন ডিফেন্ডার্সের বরাতে আল জাজিরা বলছে, তিনি তেহরানের এভিন কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রাষ্ট্রে বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগও রয়েছে।
১৯০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত শান্তিতে ১০৪টি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ৭০টি পুরস্কার এককভাবে দেওয়া হয়েছে। শান্তিতে পাঁচ নোবেল বিজয়ী এই পুরস্কার ঘোষণার সময় কারাগারে ছিলেন। এ পর্যন্ত ১৯ নারী শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। ২৭টি প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কার পেয়েছেন।
১৮৯৫ সালে সুইডিশ উদ্ভাবক এবং সমাজসেবী আলফ্রেড নোবেলের উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৮ সালে অর্থনীতিকে এ পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উইলে এটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বিজয়ীরা একটি সনদ, একটি গোল্ড মেডেল ও চেক পেয়ে থাকেন।
Leave a Reply