রিক্তা রিচির কবিতা ‘বিস্ময়চিহ্নের মতো’
একদিন হঠাৎ খুব ভোরে
বিস্ময়চিহ্নের মতো তুমি চলে এসো
সামনে দাঁড়িয়ে বলো- ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি।
অথবা নৈশব্দের মুকুট এঁকে আমার চোখে চেয়ে থেকো
জন্ম জন্মান্তরের কুয়াশা সরিয়ে ভোরের রক্তিম সূর্য উঁকি দেবে আমাদের চোখে
পৃথিবীর সমস্ত আলো উষ্ণ আদরে আমাদের ক্ষত শুকিয়ে দেবে।
একদিন তোমার হৃদয় যত্নে তুলে দিও আমায়
শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলো-
‘হৃদয়ের ঘরে কপাট দিও না’, ‘আমাকে ছেড়ে যেও না প্রিয়তমা’, ‘গ্রহণ করো আমায়, গ্রহণ করো’
একদিন খবরের কাগজের মতো দরজায় কড়া নেড়ো,
কোনো এক ভোরে সাদা অপরাজিতা হয়ে ফুটে ওঠো
আমাদের নোনতা স্বাদের দুঃখগুলোকে বিদায় জানিয়ে-
সেদিন মুগ্ধতায়-মুগ্ধতায় কেটে যাবে আমাদের সারাবেলা।
বেঁচে থাকার একটা দিন অন্তত খুব খুব প্রেম-আনন্দে কাটুক
দেহ থেকে প্রাণ উড়ে গেলে তোমাকে যেন আফসোসের পাহাড় বইতে না হয়
যেন এপিটাফে লিখতে না হয়, ‘ক্ষমা করে দিও প্রিয়তমা, ক্ষমা করে দিও।’
একদিন হঠাৎ খুব ভোরে
বিস্ময়চিহ্নের মতো তুমি চলে এসো
সামনে দাঁড়িয়ে বলো- ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি।
Leave a Reply