মুক্তিযোদ্ধারা এখন আর মুক্তির কথা বলছেন না কেন?
দলীয় নেতা-কর্মী হিসেবে নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের নিজেদের নিজস্ব পরিচয়ে এবং নিজস্ব বিশেষ স্থান থেকে জাতির এ দুঃসময়ে মানুষের মুক্তির কথা বলতে হবে।
দলীয় নেতা বা কর্মী পরিচয়ে কেউ কেউ সাহস দেখাচ্ছেন, প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করছেন সত্য, কিন্তু তা হচ্ছে রাজনীতিবিদের পর্যায়ে। আমি বলছি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব পরিচয়ে দলনিরপেক্ষ ভূমিকার কথা।
জাতি কঠিন দুঃসময়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বিপদ ঘনীভূত হচ্ছে দেখে দুশ্চিন্তায় আছি। বৃহত্তর সংকটের আশঙ্কা থেকে সবাইকে এগিয়ে আসার কথা ভাবছি।
আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে চেয়েছি যে, তারা আদতে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, না দেশ থেকে দখলদার বাহিনী হটানোর যুদ্ধ করেছেন। তারা যুদ্ধ করেছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য, এটাই বোঝেন।
স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে তাদের পক্ষ থেকে যে একটা সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকা উচিত, এটা তারা বুঝতে চান না বরং এ কথা বললে তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
তারা বলতে চান, আমরা তাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছি না। তারা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ নিয়েই তারা গর্বিত এবং এটাই তাদের শেষ কথা।
এ ব্যাপারে আমি নিজে যা বুঝেছি এবং বুঝাতে চেয়েছি তা হল, তারা শুধু দেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধ করেননি। সম্মুখযুদ্ধে তো ভারতেরও বিরাট অবদান ছিল। সে জন্য তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়নি। জনগণের সার্বিক মুক্তির জন্য যুদ্ধ করার জন্যই আমাদের যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়।
মানুষের মুক্তির বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু পায়নি। এই না পাওয়ার ব্যাপারটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এটাও আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে, ইতিহাসের নাট্যমঞ্চে যখন যার যে ভূমিকা, তখন সেটুকু সঠিকভাবে পালন করতে পারাও কম কৃতিত্বের ব্যাপার নয়।
আজকের রাজনীতি যদি ভুল-ভ্রান্তির বালুচরে আটকা পড়ে থাকে, তবে সে সংকট দূর করার দায়িত্ব নিতে হবে নতুন প্রজন্মের নেতাকর্মী ও সংগঠকদের। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যই প্রেরণা জোগাবে, বাধা হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের কাছে নয়, বিজয়ীদের কাছে আজ অসহায়।
কারণ, তারা মুক্তিযুদ্ধকে যুদ্ধ হিসেবে দেখছেন, জনগণের মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে নয়। জনগণ দেখতে পাচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশে ভোটাধিকারের কোনো গুরুত্ব নেই, অথচ এই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একাত্তরে এ জাতি যুদ্ধ করেছিল।
জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ছাড়া এবং আমাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী যুদ্ধ শুরু না করলে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্ন আসত না। অথচ আজ দেশের মানুষের মুক্তির কথা ভুলে যাওয়া হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সব আলোচনার ক্ষেত্রেও এখন আর গণতান্ত্রিক চেতনার কথা নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে যত সব বড় বড় কথা। এ চেতনা ভারতে অবস্থানকারীদের ভিন্নতর।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন এ দেশের মাটি থেকে উদ্ভূত কোনো চেতনা নয়। আর সেটাই আমার দুশ্চিন্তার বিষয়। যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা ক্ষমতা ভোগ করতে পারলেই খুশি। আর যারা বিরোধী অবস্থানে আছেন তারা ক্ষমতায় যাওয়ার আশা নিয়ে বসে আছেন।
কারও কাছে রাজনীতি বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিশেষ বিবেচ্য বিষয় নয়।
জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত ৬ দফাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীতটিই হচ্ছে। এখন গণতন্ত্র সংকটে, মানুষের মুক্তি সংকটে। বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে থাকার চিন্তাই যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ভারতে থেকে সেদেশের সরকারের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করতে গিয়ে বামপন্থী রাজনীতির নেতারা বড় বেশি সুযোগ নিতে সক্ষম হয়েছেন।
তারা মুক্তিযুদ্ধকে জনগণের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিণতি মনে করতে চান না। বাংলাদেশে থেকে যারা এক সাগর রক্ত দিয়ে মুক্তি চাইল, তাদের রক্তের দাম থাকছে না।
যেহেতু ভারতের সাহায্য-সহযোগিতায় যুদ্ধ হয়েছে, এ কারণে গণতন্ত্রবিদ্বেষী বামপন্থীরা নিজেদেরকে যুদ্ধের মূল অংশীদার মনে করেছেন। তাই ৬ দফাভিত্তিক জনগণের নির্বাচনী ম্যান্ডেটকে অস্বীকার করছেন।
বিপ্লবী রাজনীতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে আগে একবার গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটানো হয়। এরপর যেটুকু নির্বাচনসর্বস্ব গণতন্ত্র এখনও চালু আছে, তাও বিরাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিচার বিভাগ এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। সরকার সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বিচার করার ক্ষমতা হাতে নেয়ার আইনও পাস করেছে। গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র অস্বীকার করার আর তেমন কিছুই বাকি থাকছে না।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অগ্রাহ্য করতে পারলেই গণতন্ত্রের আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। সাধারণ মানুষ হারাবে তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষার এবং সুবিচারের নিশ্চয়তা।
পুলিশের ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে পড়বে সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশকে বিচারহীন দেশ করার অভিসন্ধি যারা করছেন, তারা আমার দৃষ্টিতে জনগণকে অধিকারহীন, পরাধীন রাখার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন।
যারা নির্বাচনের রাজনীতিকে বিশ্বাস করেন না, তাদের কাছে নির্বাচনচুরি কোনো অপরাধ নয়। দেশে বলিষ্ঠ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই বলেই আমাদের যত সমস্যা।
অসৎ নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ সরকার আশা করা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছু নয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন করতে কেন সাহস পাচ্ছে না তা সহজেই বোধগম্য। সৎ নির্বাচনই সৎ ও যোগ্য সরকার পাওয়ার পূর্বশর্ত।
বিপ্লবী সরকারের কায়দায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভয়-ভীতি প্রয়োগের কারণে আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই অন্যায়-অবিচারের শিকার হতে হচ্ছে। যে যেভাবে পারছে ক্ষমতার অপব্যবহার করার সুযোগ নিচ্ছে।
সবাই জনগণকে অসহায় মনে করছে। দেশে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতৃত্ব থাকলে বুঝতেন যে, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে সরকারকে শাসনতন্ত্র ও আইনের নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়।
আমি মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে চেয়েছি রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা প্রতিরোধের শক্তি হিসেবে, জনগণের মুক্তির বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে। কিন্তু তাদের সেই সাহসী স্বর দেশবাসী শুনতে পায়নি।
মুক্তিযুদ্ধ মানুষের মুক্তির ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধাদের সোচ্চার করতে পারেনি, এটা মুক্তিযুদ্ধের বড় ব্যর্থতাই বলতে হবে। দেশ হানাদারমুক্ত হয়েছে; কিন্তু দেশের মানুষ সার্বিক মুক্তি পায়নি।
ভারতে গিয়ে, ভারতে থেকে এবং ভারতের সহযোগিতায় ও নেতৃত্বে পরিচালিত নয় মাসের যুদ্ধকে যারা কেবল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মনে করেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ও অহঙ্কারের বিষয়বস্তুই বোঝেন না।
মুক্তিযুদ্ধের পশ্চাৎপট তথা দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রামকে অস্বীকার করা হলে থাকে শুধু ভারতসমর্থিত যুদ্ধ। গণতান্ত্রিক সুশাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং নিজেদের ঐতিহ্য ও গর্ব। আমাদের জাতীয় জীবনে সেই সত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই গর্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের পর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা প্রণীত যে শাসনতন্ত্র আমরা সবাই সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করেছি, সেটাই তো জনগণ প্রদত্ত মুক্তিযুদ্ধের শাসনতন্ত্র এবং তার মধ্যেই বিধৃত রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
জনগণ প্রদত্ত শাসনতন্ত্রই দেশ গঠনে জাতির ভিশন। এই শাসনতন্ত্রই সযত্নে জাতীয় মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।
যুদ্ধের পর্ব অনেক আগেই শেষ হয়েছে এবং দেশ এখন স্বাধীন। তাই এখন আর যুদ্ধের কথা না শুনিয়ে মানুষের মুক্তির কথা বলুন, অধিকারের কথা বলুন এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের কথা বলুন। তবেই দেশ মুক্তির দিকে এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতা অর্জন সার্থক হবে।
যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তান আমল থেকে এ জাতি দীর্ঘকালব্যাপী সংগ্রাম করে আসছে, স্বাধীন বাংলাদেশে সেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভুলে যাওয়া হচ্ছে।
আবার ইতিহাস বিকৃতির কথাও বলা হচ্ছে। গণতন্ত্র ব্যতীত মুক্তিযুদ্ধের কোনো স্বতন্ত্র চেতনা থাকতে পারে না। যত কিছুই হোক, এ দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক চেতনা মিথ্যা হবে না, হওয়ার নয়।
যারা গণতন্ত্রবিরোধী, তাদের দাবি হল, তারাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি। অথচ ভোটের রাজনীতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতিই ছিল মুক্তিযুদ্ধ।
জাতি হিসেবে অধিকার নিয়ে, মর্যাদা নিয়ে বাঁচার চেতনাই মুক্তির চেতনা। আইয়ুব খানের ‘উন্নয়নের রাজনীতি’ এ দেশের জনগণের আইয়ুববিরোধী আন্দোলনকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি।
শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো মহান জননেতাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামও বৃথা যাওয়ার নয়।
তারা শিখিয়েছেন যে, গণতন্ত্র শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়। সম্পদশালী হওয়ার জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতা নয়। গণতান্ত্রিক রাজনীতি হচ্ছে জনগণের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার রক্ষাকবচ। গণতন্ত্র সভ্য সমাজের শোভন ব্যবস্থা।
পাকিস্তান আমলের গণতন্ত্রবিহীন স্বাধীনতা মেনে নিতে পারলে তো রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনই ছিল না। তাই যারা পাকিস্তান আমলের গণতন্ত্রবিহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের সে স্বপ্ন সফল করার ক্ষেত্র মুক্তিযুদ্ধের ফসল বাংলাদেশ হতে পারে না।
তারাই তো আসল পাকিস্তানি, যারা জনগণের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করতে পারছেন না, জনগণের ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না।
জাতি হিসেবে স্বাধীনতাকে জনজীবনে অর্থবহ করার পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সে যোগ্যতা ও মর্যাদাবোধ যে আমাদের আছে, এই বিশ্বাসে আমাদের সবাইকে বলীয়ান হতে হবে।
অন্যদের সাহায্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করার অর্থ তো এ হতে পারে না যে, আমরা আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা ভোগ করার শক্তি, সাহস ও যোগ্যতা রাখি না।
অত্যন্ত আশার কথা, মুক্তিযুদ্ধের ফসল হিসেবে আমাদের জন্য জনগণ প্রদত্ত ১৯৭২ সালের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উপযোগী একটা শাসনতন্ত্র রয়েছে। জনগণ প্রদত্ত সেই শাসনতন্ত্রের অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক গণতান্ত্রিক শাসন নিশ্চিত করাটাই হবে রাজনৈতিক সংস্কারের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সুনিশ্চিত পথ।
গণতান্ত্রিক নিয়মের নির্বাচন দাবি করব, কিন্তু গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র নির্দেশিত প্রাতিষ্ঠানিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মানব না, তা যুক্তির কথা হতে পারে না। বর্তমান বাস্তবতায় দলীয় সরকারের অধীনে সংসদের নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার কী রকম হবে তা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোই হবে গণতন্ত্র রক্ষার পথ।
জনগণের অসহায়ত্বের অন্যতম প্রধান কারণ নিরপেক্ষ মুক্তিযোদ্ধারা গণমানুষের মুক্তির কথা বলেন না। মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক তাৎপর্য তাদের কাছে মূল্য পাচ্ছে না। জনগণের মুক্তিযুদ্ধকে তাদের মুক্তির বিষয় হিসেবে দেখতেই হবে। ৬ দফাভিত্তিক গণতন্ত্রই মুক্তিযুদ্ধের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন : আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ
Leave a Reply