আগামী ২৬ মার্চ
মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার
আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষের দিকে রয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল হতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, সনদপত্র ও প্রত্যয়নপত্র প্রদান এবং জাল ভুয়া সনদপত্র ও প্রত্যয়নপত্র বাতিলের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে অনলাইন ও সরাসরি আবেদন দাখিলকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ধাপে যাচাই বাছাইয়ের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৩৮ উপজেলায় ‘ক’ তালিকার প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ১২০টি উপজেলার ‘ক’ তালিকার প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই অনিষ্পন্ন রয়েছে। ১৭২টি উপজেলার ‘খ’ ও ‘গ’ তালিকার প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ২৪৪টি উপজেলার ‘খ’ ও ‘গ’ তালিকার প্রতিবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। মামলা বা অন্য কারণে ৬৪টি উপজেলার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। যেসকল কমিটি থেকে মামলা বা অন্যান্য কারণে প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি সেসকল কমিটি হতে প্রতিবেদন প্রাপ্তির লক্ষ্যে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এছাড়া স্বাধীনতার স্মৃতি রক্ষার্থে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এই কাজের জন্য গত ৫ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি অনাপত্তিপত্রের জন্য বাংলাদেশ বেতারকে চিঠি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ বেতার এখনও সেই চিঠির জবাব দেয়নি।
বুধবার (০২ মার্চ) সংসদ ভবনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply