দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করতে চিঠি

অথর
কুষ্টিয়া প্রেস ডেক্স :  কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
প্রকাশিত :১৮ জানুয়ারি ২০২২, ৫:১২ অপরাহ্ণ
দেওবন্দের ফতোয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করতে চিঠি

বিশ্বখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন করেছে দেশটির জাতীয় শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন। তাদের দাবি, দেওবন্দের ফতোয়া শিশুরা অবাধে দেখতে থাকায় তা তাদের ক্ষতি করছে।

জাতীয় শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন বা এনসিপিসিআর অভিযোগ করেছে, দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে ফতোয়ার একটি তালিকা রয়েছে যেখানে আইনবহির্ভূত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

সম্প্রতি দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া প্রকাশ করেছে।

দেওবন্দের বিরুদ্ধে জারিকৃত নোটিশে ভারতের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন সাহারানপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ওয়েবসাইট চেক করে এ বিষয়বস্তু মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় সংবিধান, ভারতীয় দণ্ডবিধি, শিশু অধিকার আইন ২০১৫ ও শিক্ষাঅধিকার বিধান লঙ্ঘনের দায়ে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে এনসিপিসিআর বলেছে, শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের ১৩ (১) (জে) অভিযোগের বিষয়টি বিবেচনা করে অভিযোগটি অনুসরণ করে এবং ওয়েবসাইটটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে ব্যক্তিদের উত্থাপিত বিষয়গুলোর প্রতিক্রিয়ায় প্রদত্ত ব্যাখ্যা এবং উত্তরগুলো দেশের আইন এবং কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে এনসিপিসিআর।

তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া বা এসআইও।

এসআইও-র জাতীয় সম্পাদক ফাওয়াজ শাহীন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এনসিপিসিআর-এর চিঠিটি কিছু ফতোয়া তুলে ধরে মাদ্রাসাকে টার্গেট করাই জাতীয় শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কি রয়েছে সেই ফতোয়াতে

সম্প্রতি সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়ে একটি প্রশ্ন আসে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগে। প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, ইসলামে সন্তান দত্তক নেওয়ার হুকুম কী?

উত্তরে মুফতিরা বলেছেন, সন্তান দত্তক নেওয়া জায়েজ। তবে সে, প্রকৃত সন্তান হিসেবে গণ্য হবে না। তার পিতৃপরিচয়ও পরিবর্তন করা যাবে না বরং প্রকৃত পিতার দিকেই তার সম্বন্ধ হবে। আর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তাকে লালনপালন করতে পারবে।

নিজেদের সঙ্গে একই ঘরে থাকতে পারবে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হতেই তার সঙ্গে পর্দা করা ফরজ হয়ে যাবে। এমনিভাবে পালিত পিতা-মাতার কেউ মৃত্যু বরণ করলে, দত্তক নেওয়া সন্তান তাদের ওয়ারিশ হবে না। তাদের সম্পত্তিতে কোনো অংশ পাবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

শেয়ার করে  সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published.