রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
তিন দিক ঘিরে সাঁড়াশি হামলা! ইউক্রেন দখলের চক্রব্যূহ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের
তিন দিক ঘিরে সাঁড়াশি হামলা! ইউক্রেন দখলের চক্রব্যূহ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল মাস খানেক আগেই। সামরিক মহড়ার অছিলায় বেলারুশে রুশ সেনার প্রবেশের পরেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়া। গত করেক দিনে বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে রুশ ফৌজের গতিবিধি বলছে, পুরোপুরি যুদ্ধ শুরু হলে দ্রুত ‘তৃতীয় ফ্রন্টলাইন’ খুলে অসুবিধা হবে না ভ্লাদিমির পুতিনের।
১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ইউক্রেনের মতোই স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হয়েছিল বেলারুশ। কিন্তু গোড়া থেকেই সেখানকার সরকার মস্কো-ঘনিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার ভোরে পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার পরেই সীমান্তে সক্রিয় হয়েছে রুশ ফৌজ। সোমবার রাতে পুতিন ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই সেখানে রুশ সেনার অনুপ্রবেশেরও খবর মিলেছে। ওই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বড় অংশ রুশ। মস্কো-পন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলিও সেখানে সক্রিয়। তাদের সাহায্যে এই এই অঞ্চল থেকেই রুশ সেনা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অভিযান শুরু করতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস থেকে কিয়েভে অভিযান চালানোর পথে পুতিনের বাহিনী ‘ইউক্রেনের সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে পরিচিত খারকীভের দখল নেবে বলে আশঙ্কা আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো-র। ইতিমধ্যেই কিয়েভ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্স্কির নেতৃত্বাধীন সরকারের মনোবল ভাঙাই এর উদ্দেশ্য।
Leave a Reply