ঢাকা থেকে খুলনা ও বেনাপোল রুটের ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে থামবে
ঢাকা থেকে খুলনার সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস রুটের ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে থামবে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রুট পরিবর্তন করছে ঢাকা-খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল-ঢাকা রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, যমুনা নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রুটে যাবে ট্রেন দুটি। রুট পরিবর্তন করায় পরিবর্তন হচ্ছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্টেশনের।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ (৭২৫) দিয়ে নতুন রুটে যাত্রা শুরু হবে। ওইদিন ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এবং ঢাকা পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে এবং খুলনা পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে। ট্রেনটি (৭২৫) খুলনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে শেষ গন্তব্য ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনে থামবে।
ঢাকা থেকে ফিরতি পথে ট্রেনটি (৭২৬) ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে ভাঙ্গা জংশন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া কোর্ট, পোড়াদহ জংশন, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা হল্ট, কোটচাঁদপুর, মোবারকগঞ্জ, যশোর, নোয়াপাড়া এবং দৌলতপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে শেষ গন্তব্য খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে থামবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক দপ্তারাদেশে এসব তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে আগামী ২ নভেম্বর থেকে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ (৭৯৫) দিয়ে নতুন রুটে যাত্রা শুরু হবে। ওইদিন ট্রেনটি বেনাপোল ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে।
ট্রেনটি (৭৯৫/৭৯৬) উভয় পথে ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। সুন্দরবন ও বেলাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিদ্যমান রেক কম্পোজিশন, মার্শালিং ও আসন বিন্যাস একই থাকবে।
Leave a Reply