জনতার পাশে থাকার প্রত্যয়ে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’ শুরু

জনতার পাশে থাকার প্রত্যয়ে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩’ শুরু হচ্ছে আজ। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) থেকে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।
এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’।
সোমবার (২ জানুয়ারী) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ প্রতিপাদ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে এ বছর ‘পুলিশ সপ্তাহ’ পালিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্যদিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন বর্ণিল প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেবেন। পুলিশ সপ্তাহের প্রতিটি অনুষ্ঠান যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, ২০২২ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২৫ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ দেওয়া হবে।

আর গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৫ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেবেন।

পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩-এর কর্মসূচি
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩-এর উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ প্যারেড, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, আইজিপি ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ, পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন।

পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্ম-অধিবেশনে গত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে। একইসঙ্গে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।