ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাকে ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তর

কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাকে ‘ঝাউদিয়া থানা’ নামকরণের প্রস্তাব অনুমোদন

অথর
কুষ্টিয়া প্রেস ডেক্স :  কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ
প্রকাশিত :২৭ নভেম্বর ২০২২, ৩:০৭ অপরাহ্ণ
কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাকে ‘ঝাউদিয়া থানা’ নামকরণের প্রস্তাব অনুমোদন

কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাকে‘ঝাউদিয়া থানা’ নামকরণ ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় পৌরসভা গঠন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)।

রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শ্যামনগর সুন্দরবনের কোণায়। সেই উপজেলা সদর হেড কোয়ার্টারে ‘সি’ শ্রেণির পৌরসভার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, একই সঙ্গে সভায় কুষ্টিয়া জেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাকে ঝাউদিয়া এলাকায় স্থানান্তর করে ‘ঝাউদিয়া থানা’ নামকরণ এবং ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্পকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানান্তর করে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্প’ হিসেবে নামকরণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যে থানা আছে, ওনারা আবেদন করেছেন যে থানাটা এক সাইডে। সাধারণ মানুষের জন্য ইউনিভার্সিটির ভেতরে ঢুকে সব সময় থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা অসুবিধা। পাশেই ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্প আছে, সেটার প্রায় এক একর জমিও আছে। সুতরাং থানা শিফট করলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। শুধু ভবন করলেই হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এছাড়া বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা এবং বোয়াইল ইউনিয়নের বিরোধপূর্ণ অংশ বিয়োজন করে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সংযোজন করে মাদারগঞ্জ উপজেলার সীশানা পূর্ণগঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা এবং বোয়াইল ইউনিয়নের সঙ্গে, এটা নদীর এই পারে। বগুড়া যেতে হলে তাদের ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে যেতে হয়। সেজন্য জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মাদারগঞ্জ উপজেলার সীমানাটা পূর্ণগঠন করে দেওয়া হয়েছে। সারিয়াকান্দির কাজলা এবং বোয়াইল ইউনিয়নের ওই অংশটুকু এখন থেকে মাদারগঞ্জ উপজেলার অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নিকার সভায় ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল পৌরসভার সীমানা সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যখন পৌরসভা করা হয়, তখন হয়তো পুরোপুরি খেয়াল করা হয়নি। পৌরসভার মাঝখানে কিছু কিছু জায়গা পৌরসভার বাইরে রাখা হয়েছে। মাঝখানে যদি ইউনিয়ন থাকে তাহলে প্রশাসনিক বা উন্নয়নমূলক বা নির্বাচনী কাজ করতে অসুবিধা হবে। সেজন্য ওই জায়গাগুলো পূর্ণগঠন করে নান্দাইল পৌরসভার মধ্যে নিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

শেয়ার করে  সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published.