কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের শিক্ষিকা রুনা হত্যাকাণ্ডে নিহতর মাদকাসক্ত ভাতিজা আটক
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষিকা রোকসানা খানম রুনা হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উন্মোচন হচ্ছে।
এই হত্যার সন্দেহে নিহতর মাদকাসক্ত ভাতিজা আসামি নওরোজ কবির নিশাত (১৯) কে আটক করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টাক্সফোর্স টীম।নওরোজ কবির নিশাত নিহত স্কুল শিক্ষিকা রোকশানা খানমের ভাই মৃত এ কে এম নূরে আসলামের ছেলে। তারা শিক্ষিকা যে ভবনে থাকতেন সেই একই ভবনের ৬ষ্ট তলায় থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল দশটার পর এই হত্যাকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশের পর কুষ্টিয়ায় জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নেতৃত্বে বিশেষ ট্রান্সপোর্ট টীম হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী শনাক্ত ও আটকের জন্য বিশেষ ভাবে তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় হত্যাকারী নিশাতকে শনাক্ত করে ও আসামীকে আটক করে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নওরোজ কবির নিশাত ছিলেন মাদকাসক্ত ও জুয়া খেলাই আসক্ত। রোকসানা খানম রুনা কিছুদিন আগে ভাতিজা নিশাতকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুল্যের একটি মটরসাইকেল কিনে দেন। কিন্তু নিশাত জুয়া খেলায় হেরে সেই মটরসাইকেলটি বিক্রি করে দেয়।
রোকসানা খানম রুনা বিভিন্ন ভাবে নিশাতকে বোঝানোর চেষ্টা করতেন, তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে যখন রোকসানা খানম রুনা তার ভাতিজা নিশাতকে বকাবকি করে তখনই নিশাত উত্তেজিত হয়ে রান্না ঘর থেকে শীল পাটার (নুড়া) নিয়ে এসে রোকসানা খানম রুনার মাথায় সজোড়ে আঘাত করে। যখন রক্তাক্ত অবস্থায় রোকসানা খানম রুনা মাটিতে লুটিয়ে পরে তখন নিশাত ঘটনাকে ভিন্ন দিকে মোড় দেবার জন্য ঘরবাড়ি এলোমেলো করে দেয়। হত্যার পর নিশাত বাসার বারান্দার ওপরের ডিজাইন করা গোল ছিদ্র দিয়ে বের হন। আর হত্যায় ব্যবহিত (শীল) পরিত্যক্ত লিফট ঘরে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য, রোকসানা খানম রুনা নিঃসন্তান হওয়ায় তার ছোট ভাইয়ের ছেলেকে ২য় শ্রেনী থেকে নিজের কাছে রেখে নিজের সন্তানের মত লালন পালন করে আসছিলেন।
Leave a Reply