কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা নিখোঁজের মহিলাকে একদিন পর হাসপাতালের বাথরুমে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নিখোঁজ হওয়া বৃদ্ধা মহিলাকে পাওয়া গেছে হাসপাতালের বাথরুমে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের বাথরুমে অচেতন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামের মৃত সাত্তারের স্ত্রী খেরু নেসার(৭০)।
এর আগে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন ওই বৃদ্ধা মহিলা।
ওই মহিলার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসার কথা বলে গ্রামের সহজ সরল এ বৃদ্ধা মহিলাকে হাসপাতালের বাথরুমে নিয়ে গিয়ে অচেতন করে তার কাছে থাকা কানের দুল, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতারক চক্র।
বৃদ্ধার স্বজনদের থেকে জানা যায়, সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও ওই বৃদ্ধা মহিলা বাড়ী ফিরে আসে না। হাসপাতাল এলাকাসহ সম্ভাব্য সবখানে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায় না তার পরিবার। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এরপর আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নিচতলায় একটি বাথরুমে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ নিখোঁজ মহিলার পরিবারকে খবর দিলে তারা গিয়ে তাকে শনাক্ত করে।
বর্তমানে ওই বৃদ্ধা মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের প্রায় প্রতিটি বাথরুমেই রয়েছে ব্যবহৃত একাধিক চেতনানাশক ইনকেশনের শিশি ও সিরিঞ্জ। সূত্রের দাবি, হাসপাতালের কোন অসাধু ব্যাক্তি এই অপকর্মের সাথে জড়িত থাকতে পারে। মাঝে মাঝেই এই হাসপাতালে চুরি সহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। হাসপাতালে অসাধু ব্যাক্তিদের যোগসাজসে এ চক্র চিকিৎসা নিতে আসা সহজ সরল অসহায় মানুষের চিকিৎসার কথা বলে অচেতন করে সব লুট করে নেয়।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: আবদুল মোমেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অসুস্থ মহিলাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে থাকলে এ বিষয়টা পুলিশের সাথে কথা বলেন।
Leave a Reply